রায়হান আহমেদ : দিনকে দিন পর্যটক কমছে চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে করোনার ভয়াল থাবা ও ঘনঘন অস্ত্র-সস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পর্যটকদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়া। গহীন বন হওয়ায় বিভিন্নরকম অপরাধ প্রবনতা থাকার কারণেও পর্যটক কমছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে করে আগের তুলনায় দৈনিক প্রবেশের টিকেটের আয়ও কমেছে কয়েকগুণ।
বর্তমানে যারা এখানে আসেন, মূলত তারা ফটোসেশান করে দুপুরের খাবার খেয়ে চলে যান। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের খাবার বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অনেকে দুপুরের তাজা ও সুস্বাদু খাবার খেতেও এখানে আসেন।
১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের বলে ২৪৩ হেক্টর এলাকা নিয়ে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে “সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান” প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই উদ্যানে সাতটি পাহাড়ি ছড়া আছে, সেই থেকে এর নামকরণ সাতছড়ি। উদ্যানে ১৯৭ প্রজাতির জীব-জন্তু রয়েছে। হরেকরকম পাখি, লজ্জাবতী বানর, উল্লুক, চশমাপরা হনুমান, শিয়াল, কুলু বানর, মেছোবাঘ, মায়া হরিণ প্রভৃতি। এখানে রয়েছে প্রায় ২০০’রও বেশি গাছপালা।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার মাজহারুল ইসলাম বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেছি। বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ, পর্যবেক্ষণ ও চোরাচালান বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছি আমরা। করোনা ভাইরাস পুরোপুরিভাবে মুক্ত হলে আশা করি, আবারো এখানে পর্যটকদের ভিড় হবে।”
প্রবেশের টিকেট কাউন্টারে কর্মরত সন্ধ্যা রাণী বর্মা জানান, করোনা ভাইরাস আসার পর থেকে পর্যটকদের আসা-যাওয়া কমে গেছে। করোনার আগে ঈদ সৃজনে প্রবেশের টিকেট থেকে ৭০-৭৫ হাজার টাকা আয় হতো। কিন্তু এখন আর তা হয় না। বর্তমানে ১৫শ’ থেকে ২ হাজার আয় হয়।